fbpx

জঙ্গিবাদ ও আমাদের হিপোক্রেসি

আমাদের মতো সাধারন মানুষ এইসব জঙ্গিদেরদ্বারা সংগঠিত হত্যাকান্ডগুলো নিয়ে মাথা ঘামাই না। কতিপয় অসাধু রাজনীতিবিদরা যখন ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে তখনও আমরা কিছু বলিনা, শুধু শুধু ভেজালে জড়াতে চাইনা বলে চুপ করেই থাকি বেশিরভাগ সময়।

ঠিক তেমনি জঙ্গিরা যখন ধর্মের দোহাই দিয়ে লোকগুলোকে হত্যা করে, তখনও আমাদের অবস্থান একইরকম, সংবেদনশীল ঘটনা বলে চুপ করে থাকি। আবার যখন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক ছোট ছোট বাচ্চা পোলাপানদের ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়, তখনও আমরা সাধারন জনতা চুপ করে থাকি, নানা ধরনের ঝামেলা এড়াতে।

ঠিক এই সুযোগটাই নেয় ধর্ম নিয়ে রাজনীতির নামে ব্যবসা কিংবা ধর্মের নামে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম পরিচালনাকারীরা। আমি কখনো কোন সন্ত্রাস/জঙ্গিবাদের জন্য পারটিকুলার কোন ধর্মকে দায়ী করিনি, করবোও না। অপরাধকারী যে ধর্মের হোক, তার পরিচয় সে একজন অপরাধী। তার অপরাধের জন্য গোটা ধর্মকে দায়ী করাও ঠিক নয়।

আমাদের দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, এবং তাঁদের মধ্যে একতাও বেশি বলেই দেখে আসছি, অন্ততপক্ষে ধর্মরক্ষার বেলায়। সুতরাং আমাদের দেশের প্রতিটি মুসলমান মানুষ যদি ধর্মের নামে এইসব ব্যবসা বা ধর্মের নামে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতো, তাহলে কিন্তু কারো সাধ্য হতো না এভাবে একটার পর একটা খুন করে আবার তারপর দায় স্বীকার করার।

নাস্তিক/আস্তিকের ইস্যুতে কিংবা ইসলাম ধর্ম অবমাননা নিয়ে কিন্তু ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রতিবাদের অভাব দেখা যায় না। কিন্তু যখনই ইসলামের নাম নিয়ে কোন অপরাধ সংগঠিত হয়, তখন সবার মুখে কুলুপ এঁটে যায়। তখন কেউ টু শব্দটুকু করে না। তখন দেখিনা একজন হেফাজত কিংবা জামাত কর্মী মাঠে নেমে আনসার বাংলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। আর কেউ যদি প্রতিবাদ করতে আসে তখন দেখা যায় যে যার অবস্থান থেকে ডিফেন্ড করতে শুরু করে দেয়, তখন বলা শুরু হয়ঃ “ওরা সত্যিকারের মুসলমান না”, “ইসলামে এসব শিখায় নি”, “আদালতে প্রমাণ হয়নি”, “ঘটনার কোন সাক্ষি নেই” ইত্যাদি  ইত্যাদি।

অপরাধীদের বিরুদ্ধে সবাই প্রতিবাদ করলে তখন সরকারও চাপের মধ্যে থাকতো, নিরাপত্তা জোরদার করে অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে বাধ্য হতো।

আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ যদি একটু সৎসাহস বুকে নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে পারতো, তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসতো, অন্তত সরকার/প্রশাসন জঙ্গিবাদ উৎপাটনের জন্য চাপে থাকতো। তাছাড়া জঙ্গিদের সংখ্যা নিশ্চয় সারাদেশের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি নয়।

এবং ঠিক এই কারনেই অনেক সময় বলতে ইচ্ছা না থাকলেও এই দায়টা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠদের ওপরই বর্তায়। তাই বলবো, আসুন সবাই মিলে এসব জঙ্গিগোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। হয়তো তারা আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী, কিন্তু আমরা কিন্তু বীরের জাতি, ‘৭১ সালে পাকবাহিনীদের কিন্তু আমরাই বিতাড়িত করেছিলাম, সুতরাং এবারও পারবো, জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়তে।

5 Comments on জঙ্গিবাদ ও আমাদের হিপোক্রেসি

  1. আপনার লিখাটি পরে অনেক ভালো লাগলো। খুবই সত্যি কথা বলেছেন। আমরা সবাই একসাথে মাঠে নেমে প্রতিবাদ করলে, কারোরই সাধ্য নেই আমাদের দেশে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

  2. tor ki dor voy kichu nai? allah ke voy peye takle ei doroner kota likti na. k bolce tore islam dormo nie babsa korce? ja icca hoy boila ki lav hoy toder? murtad gulare ei des teke tariya daoa ucit.

  3. মুসল্লিদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার আগে ১০০ বার ভাবা উচিত ছিলো

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*