fbpx

নরঘাতক দেইল্ল্যা রাজাকারের বিস্তারিত সকল অবৈধ কাজকর্ম

sayedee1১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে এই দেইল্লা নরঘাতক রাজাকারের ঘৃণ্য জঘন্য একাধিক মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁশির আদেশ হয়েছে। তার অপরাধের বিশাল লম্বা লিস্ট। এই দেইল্লা রাজাকার যে নরঘাতক, খুনি, গণহত্যাকারী। ধর্ষক আপনারা সকলেই জানেন। একনজরে তার অপরাধের বর্ণনা দেখুন।

2016-06-08_02h52_23

প্রথমেই আসি নাম জালিয়াতিতেঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যখন এই দেইল্লা রাজাকারের মানবতাবিরোধী বিচার হচ্ছিল তখন এই দেইল্লা রাজাকারের আইনজীবীরা সাঈদী কে বাঁচাতে যে নোংরামির আশ্রয় নিয়েছিল / প্রমান করবার চেষ্টায় ছিল যে ১৯৭১  সংঘটিত আপরাধে দোষী রাজাকার যে দেলু শিকদারের কথা বলা হচ্ছে  সেই ব্যাক্তি আর কাঠগড়ায় দাঁড়ানো  দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী দুজন আলাদা ব্যাক্তি। সাঈদী আদালতে বলেছিল তার শিক্ষাগত যোগ্যতার  সকল সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখা হয় সেখানে অবশ্যই তার নাম দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী লেখাই পাবে দেলু শিকদার নয়। তাই অভিযুক্ত দেলু বা দেইল্লা  রাজাকার সে নয় সে সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাক্তি।

এই নিয়ে এডুকেশন ডট কম এই জালিয়াতির উপর পর্দা ফাঁস করে। তারা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বয়স ও নামের জালিয়াতির সত্যতা তুলে ধরে। তাদের বিস্তারিত অনুসন্ধানী তথ্য পুরো বিষয়টি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল। প্রমান হাতে নিয়েই এই জালিয়াতির  তথ্য প্রকাশ করে।

সেখানে  বলা হয়েছিলো আমরা আজকে যাকে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী নামে জানি সেই ব্যাক্তি দাখিল পাশ করে ১৯৫৭ সালে দারুস সুন্নাহ শশীনা মাদ্রাসা এবং আলিম  পাশ করে ১৯৬০সালে বরই পাড়া মাদ্রসা থেকে আর এই দাখিল আর আলিম পরিক্ষার প্রশংসা পত্রে নাম দেয় আবু নাঈম মোঃ দেলোয়ার হোসাইন।

উল্লেখ্য, জন্মতারিখ হিসেবে সাঈদী ০১-০১-১৯৪৫ ব্যবহার করে। অতয়েব, হিসাব করে দেখা যায় সাঈদী তার জন্মের ১২ বছরের মধ্যেই দাখিলা পাশ করে যা কোনভাবেই সম্ভব নয় এবং  অবিশ্বাস্য। প্রাপ্য তথ্য থেকে আরও জানা যায় যে, সাঈদী তার আমিল ও দাখিল পরিক্ষার উল্লেখিত নামটি পরিবর্তন করতে ২০০৮ সালে ৫ নভেম্বর উদ্যোগী হয়। তার মানে এই দাঁড়ায় যে  দাখিল পাশের ৫১ বছর আর আলিম পাশের ৪৮ বছর পর সে তার নাম পরিবর্তন করে রাখে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী।

2016-06-08_02h52_46

2016-06-08_02h53_01

নাম পরিবর্তন করতে হলে নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত আইন এ বলা আছে যে যদি প্রশংসা পত্রে/ সার্টিফিকেট এ  নামে ভুল থাকলে তা  পাশ করার ২ বছরের মধ্যে পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু পাশ করার ৫১ বছরের মাথায় কিভাবে তার নাম  পরিবর্তন করল এই প্রশ্নের উত্তর কোনভাবেই দিতে পারে নাই। আর ওই সময় নাম আর বয়স সংশোধন সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা ছিল  মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান , অধ্যাপক মোঃ ইউসুফ (বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত), রেজিস্টার  অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, (বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত), সাবেক নিয়ন্ত্রক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর নূর , একটা বিষয় জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, এই বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর নূর ২০০৩ সালে সাঈদী সুপারিশ করলে তার পদোন্নতি হয়।

দৈনিক সংগ্রাম এ দেয়া সাঈদীর বিজ্ঞাপন যেখানে এফিডিবিট এ সাঈদীর বয়স ০১=০১-১৯৪৫ দেখানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপনে যা লেখা হয়েছে পুরোটাই ছিল এরকমঃ

আমি দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদী জন্ম তাং ০১-০১-১৯৪৫ ইং পিতা মাওলানা ইউসুফ সাঈদী বাড়ি নং ৯১৪ শহীদবাগ ঢাকাআমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাআমি পূর্ব পাকিস্তান মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বর্তমানে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডর অধীনে আলিম ও দাখিল পাস করি, দাখিল পাসের সন ১৯৫৭ ১ম বিভাগ রোল নং ৩৯২০ কেন্দ্র সারসিন দাখিল পরীক্ষায় ভুলবশত: আমার নাম দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদীর পরিবর্তে আবু নাঈম মোহাম্মদ দেলাওয়ার হুসাইন লিপিবদ্ধ হয়েছেআলিম পাসের সন ১৯৬০ সাল রোল নং ১৭৬০ কেন্দ্র খুলনা বিভাগ ৩য়আলিম পরীক্ষায় ভুলবশত: আমার নাম দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদীর পরিবর্তে আবু নাঈম মোহাম্মদ দেলাওয়ার হুসাইন লিপিবদ্ধ হয়েছেপ্রকৃতপক্ষে আমার শুদ্ধ ও সঠিক নাম হবে দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদী এ ব্যাপারে আমি অদ্য ৫/১১/২০০৮ ইং নোটারী পাবলিক ঢাকা এর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে আমার নাম সংশোধনের বিষয়ে হলফ করলামদেলাওয়ার হুসাইন সাঈদী, পিতা মাওলানা ইউসুফ সাঈদী, বাড়ি নং ৯১৪ শহীদবাগ, ঢাকাসংগ্রাম পি-৭২১২/০৮

আপনারা যদি ভাল করে লক্ষ করেন দেখবেন এখানে সাঈদী ২০০৮ এর ৫ নভেম্বর তারিখে শুধু তার বয়স পরিবর্তন করে।

এবার আসি বয়স জালিয়াতির  ব্যাপারেঃ

যেহেতু  সাঈদী আগে তার জন্মসাল লিখেছিল ১৯৪৫। কিন্তু চোখে পরার মতো ব্যাপারটা সহজে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না যে কি করে ১২ বছর বয়শে একজন দাখিল পাশ করতে পারে তাই তার এই চালাকি যেন কেউ ধরতে না পারে তাই সে বয়স পরিবর্তন করেছে ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বরে। কিন্তু এখানেও আইন ভেঙ্গে বসে আছে এই দেইল্লা রাজাকার। কারন বয়স সংক্রান্ত এফিডেবিট এর ক্ষেত্রে , এফিডেবিট করতে হয় ব্যাক্তির মা / বাবাকে যদি জীবিত থাকে। কিন্তু সাঈদীর মা ২০০৮ সালে জীবিত থাকতেও এই দেইল্লা রাজাকার নিজেই স্বাক্ষর করেছেন এফিডেবিট এ যা কিনা সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ এবং বিত্তিহীন। নিচের ছবিতে লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন-

2016-06-08_02h53_16

আর একটা প্রমান দেখুন নীচের ছবিতে, এখানে সাঈদী ২০০৮ এর নভেম্বরের ৮  এ সাক্ষরের স্থানে লিখেছে “দেলোয়ার হোসেন সাঈদী” আবার ঠিক মাত্র ২২ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী প্রত্যয়ন পত্রে সাঈদী তার নিজের  সাক্ষর পরিবর্তন করে “আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী” লিখল, তার মানে দাঁড়ায়, সাঈদীর সাক্ষর দুই যায়গায় দুই রকম  হয়ে গেলো মাত্র ২২ দিনের মধ্যেই।

সাঈদীর সার্টিফিকেটে জন্ম সাল ১৯৪৫ হলেও নির্বাচনের সময় সেটা ১৯৪০ হয়ে যায়। প্রমান স্বরূপ নিচের ছবি।

2016-06-08_02h53_41

সাঈদী সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিম পাশ কিন্তু নামের আগে আল্লামাঃ লাগিয়ে বসে আছে। সবার মধ্যেই এই প্রশ্ন আসতেই পারে যদি আপনি গাধা হয়ে না থাকেন। প্রশ্নটি হল সাঈদী কি তার নামের আগে আল্লামা লিখতে পারে? আগেই উল্লেখিত ছিল যে সাঈদী ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রত্যয়ন পত্রে নিজেই লিখেছে যে তার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে আলীম পাশ। মানে ইন্টারমিডিয়েট সমতূল্য।তাহলে সাঈদীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা যেখানে আলীম পাশ সেখানে সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকার নামের আগে কোন হিসেবে আল্লামা লিখে?এই কথাটি সাঈদীর বিরুদ্ধে আসা রায়ের ৮ নাম্বার পাতায় লেখা রয়েছে। সাঈদীর ২০০৮ সালের প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখিত সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং রায়ে উল্লেখ করা সেই অংশটি নীচে দেয়া হোলো। মিলিয়ে দেখুন।

2016-06-08_02h54_34

এবার বলি মিথ্যা অর্থের হিসাবের ব্যাপারে, খেয়াল করে দেখবেন  ২০০৮ সালের নির্বাচনে সাঈদী নির্বাচন কমিশনে যে আয়  হিসাব দেখিয়েছে তার নিজের যে আয় ও ব্যায়ের হিসেব দেখিয়েছিলো সেটির সাথে বাংলা লিক্স প্রকাশ করা সাঈদীর বক্তব্যের কোনো মিল নেই। আয়কর এর কাগজ অনুযায়ী সাঈদীর ব্যাংকে জমা রাখা যে টাকার পরিমাণ দেখানো হয়েছে  সেটা ছিল ৬ লক্ষ নয় হাজার আটশ চার টাকা। আবার যখন বাংলা লিক্সের মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া একটি কনভারসেশন, যেখানে সাঈদী তার আইনজীবি আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বলছে সেখানে সাঈদী বলল তার ব্যাংকে কয়েকশ কোটি টাকা আছে যা খুব চালাকি করে পুরো ব্যাপারটা নির্বাচনের সময় পুরোপুরি এড়িয়ে গেছে। নির্বাচনের সময় দাখিল কৃত কাগজ পত্রে দেখিয়েছে যে তার নীট সম্পত্তির পরিমাণ সব মিলিয়ে ৮০ লক্ষ পনেরো হাজার সাতশ সোত্তুর টাকা সেখানে মাত্র কয়েক বছরের ব্যাবধানে সাঈদী কি করে এত টাকার মালিক হল? আর ব্যাংকে কয়েকশ কোটি টাকা এলো কিভাবে?

2016-06-08_02h54_50

এবার আসি দেইল্ল্যা রাজাকারকে ইংল্যান্ডের পত্রিকা জানোয়ার বলে লাঞ্ছিত করলো- এই বিষয়ে

এই নরঘাতক, পাকী দালাল ,ধর্ষক, লম্পট, দেইল্লা রাজাকার বাংলাদেশেই না দেশে বিদেশে স্বগর্বে অপরাধ করে। এই হারামির বাচ্চা ইংল্যান্ডে এসেও দেশের ১২টা বাজিয়ে গেছে ২০০৬ সালে। এই হারামজাদা ধর্মকে ব্যবহার ইসলাম ধর্মের কথা বলে ওখানে এই ধর্মকে সবার সামনে হেয় করেছিল। ওই সময় সাঈদী বলেছিলো “ইংল্যান্ডে ও আমেরিকায় বোমা মারা একদম সঠিক। ইংল্যান্ড বোমা খাওয়া ডিজার্ভ করে”। একবার ভাবুন তো ইংল্যান্ড এ বসে এই রকম কথা বললে ইংল্যান্ড কি ছেরে কথা বলবে? এই তো রীতিমত জঙ্গিবাদের আহ্বান দিচ্ছিল সকলকে। এই কর্মকাণ্ডে ওই সময় ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ট্যাবলয়েড, ৫-ই জুলাই ২০০৬ সালে এই জঙ্গিবাদী সাঈদী কে নিয়ে The Sun একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। লেখাটির শিরোনাম ছিলো- Ban this beast and Kill Brits Hate Cleric let into UK, এখানে সাঈদীকে “জানোয়ার” হিসেবে অভিহিত করা হয়। দয়া করে এই তথ্যটি আপনি ফেসবুক, টুইটার সবখানে ছড়িয়ে দিন। সে সময়কার ব্রিটিশ পাঠকদের প্রতিক্রিয়া দেখুন।

2016-06-08_02h55_04

2016-06-08_02h55_16

ইংল্যান্ডের পত্রিকা “দি মেইল” ও “দি টাইমসে” ওই একই সময় নিয়ে সাঈদী রিপোর্ট করেছে। সেখানেও এই মৌলবাদীকে নিয়ে নেতিবাচিক রিপোর্ট করেছে

দেইল্লা রাজাকার নামে খ্যাত এই সাঈদীকে জুতাপেটা করে লন্ডন ও কানাডার মানুষ।

১৯৯৯ সালে সাঈদী লন্ডনে বসবাসরত সিলেটী অভিবাসী সাধারণ নাগরিকদের কাছে জুতাপেটার মুখোমুখি হয়। ‘৯৯ সালের ১৫ জুলাই সাঈদী ওল্ডহামের কুইন এলিজাবেথ হলের এক সভায় বলে যে সিলেটি সম্মানিত অধিবাসীরা লন্ডনে যদি না আসত তবে বাংলাদেশে তারা নাকি রিকশাচালক /ড্রাইভার এর কাজ করত ,সাঈদী আরো বলে যে, এখানে বসবাসরত মেয়েরা ইউনিভার্সিটি যাবার নাম করে কি করছে কোথায় যাচ্ছে, কাদের সাথে বাইরে থাকছে, তা তাদের অভিভাবকেরা নাকি খোঁজ নেন না। সাঈদী আরো বলে যে এই লন্ডনের মেয়েরা এতই পাতলা কাপড় পড়ে যাতে তাদের শরীর দেখা যায় এবং শরীরের গভীর ভাঁজ গুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে যা নিদারুন পীড়াদায়ক। এইসব কাপড় নাকি হিন্দু মেয়েরাও পরে না। সাঈদী আরো বলে যে এই দেশের ৯০ ভাগ মেয়েদের নাকি বয় ফ্রেন্ড আছে  আর তাদের সাথেই বিয়ের আগে একই ঘোরে বাস করে বলে তার কাছে তথ্য আছে।

ভাবতে পারেন এইগুলো শোনার পর সবার অবস্থা কি হয়েছিল? সভাতে এইসব কথা বলার সাথে সাথেই সাঈদীর ওয়াজ শুনতে আসা ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তিরা সাঈদীর দিকে জুতা ছুঁড়ে মারে , ক্ষোভে ফেটে পরে আর সাঈদীকে মারতে উদ্যত হয়। এসময় জামাত-শিবিরের কর্মীরা সেখান থেকে সাঈদীকে রক্ষা করে আর ওই লম্পট কে সরিয়ে নেয়।

অসভ্য নির্লজ্জ এই হারামজাদা, এই ঘটনার কিছুদিন পর একটা সংবাদ সম্মেলন ডাকে এবং সেখানে বলে, সে যা বলেছে ঠিক বলেছে। ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। সে কেন ক্ষমা চাইবে?

বাঙ্গালি কমিউনিটি তখন এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পরে। তার কাছে যখন জানতে চাওয়া হয় এসব খবরের সত্যতার কথা সে রেগে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহজাহান লিখেন লন্ডনের সাপ্তাহিক সুরমায় ২৬ আগস্ট ‘৯৯ সালে পুরো ব্যাপারটি। লন্ডন এর আবহাওয়া তখন উত্তাল। সময় সুবিধার না ভেবে এই ঘটনার পর সাঈদীকে রাতের আঁধারে চুপিসারে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় জামাতিদের দালালরা।

কিন্তু আবার যখন ২০০৬ সালে  লন্ডনে এসে সাঈদী ইংল্যান্ড এবং আমেরিকা নিয়ে কটুক্তি করে ঢালাও ভাবে দোষ দিয়ে এবং এই দুইটি দেশ বোমা হামলা ডিজার্ভ করে বলে, তখন ২০০১ সালে এমন কথার প্রেক্ষিতে ইংলিশ মিডিয়া সাঈদীর ভিসা বাতিলের আবেদন জানায়।

লম্পট সাঈদীকে কানাডার টরেন্টোতে জুতাপেটা করা হয় ২০০৪ সালে, নাহার মনিকা নামে এক ভদ্রমহিলার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেয়া। যিনি বর্ণনা করেছেন এভাবে-

“সময়টা ২০০৪ সাল। সাঈদী মন্ট্রিয়ালের মসজিদে ওয়াজ-মাহফিল করতে এলে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তার ওপরে জুতাও ছুড়ে মারা হয়েছিল। আমাদের মেয়ে চারণ-চিত্রণ স্লোগান শিখেছিল- ‘সাঈদীর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’… সেই প্রথম স্লোগান আর ভুললো না।”

নরঘাতক সাঈদীর মানবধবিরোধী অপরাধের অস্বীকার এবং পিরোজপুরের জনতার বলিষ্ঠ জবাব-

ব্লগার এই আমি যাত্রীর একটি লেখা থেকে জানা যায় যে- ‘৯৭ সালের ২৬ অক্টোবর দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় এ সংবাদ টি ছাপা হয়।রাজাকার সাইদি বলেছিল, “তিনি রাজাকার কেউ প্রমান করতে পারবে না।” এরই প্রেক্ষিতে পিরোজপুরের ৪টি এলাকার মানুষ প্রমানসহ বলেন “সাইদী ছিল ভয়ঙ্করতম রাজাকার”।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*