“মানুষ মানুষের জন্য” কথাটি বদলে দিয়ে “মানুষ ধর্মের জন্য” রাখা উচিত। মানবিক অনুভুতির চেয়ে এখন ধর্মীয় অনুভুতি অনেক বিশাল। প্রতিবাদ ধর্মের বিরুদ্ধে না হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত তা মোটামোটি আমরা সবাই ভুলে গেছি। হায়রে ধর্ম! আমরা কবে যে মানুষ হবো??
দুই দিন ধরে দেখছি নারায়ণগঞ্জের এক শিক্ষককে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এলাকাবাসীর সামনে হেনস্তা করেছেন স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমান সাহেব।
আর এই ইস্যুতে কিছু মানুষের আসল চেহারা সামনে চলে এসেছে। তাঁদের দেখলেই বুঝতে পারা যায় এখনকার মানুষদের মানবিক অনুভূতির চেয়ে ধর্মীয় অনুভুতি অনেক বড়ো হয়ে গেছে।
সেই শিক্ষক যদি ধর্ম নিয়ে কোন কটুক্তি করে থাকেন, তাহলে তাঁকে বাংলাদেশের দন্ডবিধি অনুযায়ী আইনের আওতায় আনা যেতে পারে। কিন্তু তা না করে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং বারবার তাঁর কান ধরে উঠবস করার ভিডিওটি শেয়ার করে বারবার হেনস্তা করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
একটু খেয়াল করে দেখলেই দেখা যায়, কিছু মানুষের উগ্র মন্তব্য, সংখ্যালঘু বলে গালিগালাজ, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার উপদেশ ইত্যাদি।
খুব দুঃখ লাগে এধরনের মনমানসিকতা দেখলে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এখন শুধু মুখে মুখেই। প্রতিবাদ হওয়া উচিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে। তা না করে করা হচ্ছে ঠিক উল্টোটা। বড়ই বিচিত্র আমার দেশের এই মানুষগুলো!
tor dhormo ki?? name dekhe to mosolman mone hoina.